অভিমানে দলবদল : জোটের জয়ী জোড়াফুল থেকে পদ্ম শিবির হয়ে ফের জোড়াফুলে

28th August 2020 12:56 pm বাঁকুড়া
অভিমানে দলবদল : জোটের জয়ী জোড়াফুল থেকে পদ্ম শিবির হয়ে ফের জোড়াফুলে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাম কংগ্ৰেসের জোট এর প্রার্থী হয়ে কংগ্ৰেসের প্রতীক নিয়ে জিতেছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে । এখনো কংগ্ৰেসের ই বিধায়ক । নির্বাচনের ছ ' মাসের মধ‍্যেই দলবদল করে চলে আসেন জোড়াফুলে । ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর তিনি যোগ দেন পদ্ম শিবিরে । ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের তিনি জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিলেন । তিনি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য । বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে এসে তিনি যোগ দিলেন শাসক শিবিরে । দলীয় পতাকা তুলে দিলেন মন্ত্রী শ‍্যামল সাঁতরা সহ অনান‍্য নেতৃত্বরা । অনেকদিন পর নিজের পুরানো ঘরে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে বলে জানিয়েছেন তুষারবাবু । তিনি বলেন , দিদির প্রতি অভিমান হয়েছিলো । রাগ ছিল না কোনদিন ই । রাগ থাকলে ফেরা যায় না । সব অভিমান ভুলে ফের পুরানো দলে যোগ দিলেন বলে প্রতিক্রিয়া কংগ্ৰেস বিধায়কের । এই ভাবে একদলে থেকে অন‍্যদলে যোগদান দ্বিচারিতা কিনা সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন , বাম ও কংগ্ৰেস যৌথভাবে তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্পিকারের কাছে জানিয়েছেন । তার কোন সিদ্ধান্ত হয় নি । উচ্চ আদালতেও  কোন সিদ্ধান্ত হয় নি ।  যতক্ষন পেন্ডিং থাকবে ততক্ষন নতুন করে ভাববার কিছু নেই বলে জানান তুষারবাবু ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।